সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক ও জেলা জজ মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি গ্রামের সোবহান সিকদারের ছেলে ইমরান সিকদার।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইমরানের বাবা সোবহান সিকদারের দুই স্ত্রী।
দেশান্তরকাঠিতে দ্বিতীয় স্ত্রী বিউটি বেগম বসবাস করেন। বিউটি বেগমের সাত বছরের ছেলে জাবেদ স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়াশুনা করত। সোবহান সিকদার ঢাকায় থাকেন। ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় তিনি বিউটিকে ফোন দিয়ে বিবিচিনি সতীনের বাড়িতে আসতে বলেন।
২০১৮ সালের ১৮ জুন বিকেলে বিউটির সন্তান জাবেদকে নিয়ে সতীনের বাড়িতে আসেন। পরের দিন ১৯ জুন বিকেল ৪টার দিকে ইমরান তার সৎ ভাইকে সাইকেলে চড়িয়ে ঘুরতে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা হলেও ইমরান ও জাবেদ বাড়িতে ফিরে না আসায় বিউটি খুঁজতে বের হন। একপর্যায়ে পাশের বাড়ির কলাবাগানে ইমরানকে দেখতে পান। এসময় ইমরান তার সৎ মা বিউটিকে দেখে দৌড় দেয়। তাকে ধরে জাবেদ কোথায় জানতে চাইলে ইমরান স্বীকার করে আবুল মল্লিকের কলাবাগানে কচুরীপানার মধ্য জাবেদকে হত্যা করে মরদেহ লুকিয়ে রেখেছে। পরে ওই পুকুর থেকে জাবেদের মরদেহ উত্তোলন করে বেতাগী থানায় মামলা করেন বিউটি। তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২৩ মার্চ আসামি ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বরগুনায় এই প্রথম শিশু আদালতে বিচারক ও আইনজীবীদের কোর্ট ড্রেস ছাড়া শিশুর বিচার হলো।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আসামি শিশু হওয়ায় শিশু আইনে ১০ বছরের বেশি শাস্তি দেওয়ার বিধান নেই। যার কারণে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে পারেনি আদালত। রায় ঘোষণার পর আসামিকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বিমান কান্তি গুহ বাংলানিউজকে বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামি হাইকোর্টে আপীল করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
আরএ