এ ঘটনায় নেশাগ্রস্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন রেজাউল ইসলাম (৩৫) কে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের পুটিমারী বহরের হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শাকিল থানাহাট ইউনিয়নের পুটিমারী বহরের হাট এলাকার আব্দুল কাদের ছেলে। সে মরহুম রজব উদ্দিন নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসায় যায় শাকিল। মাদ্রাসার হুজুর শাহাজালাল তখনও মাদ্রাসায় না আসায় ক্লাসের ভেতর সহপাঠীদের সঙ্গে গল্প করছিল সে। এসময় বহরের ভিটা গ্রামের মৃত সামছুল হকের নেশাগ্রস্ত ছেলে রেজাউল মাদ্রাসার দরজায় এসে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে শাকিল ওই যুবককে বলে যে, তোমাকে দেখলে সব ছাত্র-ছাত্রী ভয় পায়, তুমি এখান থেকে চলে যাও। রেজাউল সঙ্গে সঙ্গে শাকিলকে ক্লাস থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে মাদ্রাসা সংলগ্ন মিল চাতালের পাশে সহপাঠীদের সামনে তার মাথা ইট দিয়ে থেতলে দেয়।
এসময় ছাত্র-ছাত্রীদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে শাকিলকে উদ্ধার করে এবং নেশাগ্রস্ত রেজাউলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় শাকিলকে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দ্রুত রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। রংপুর নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, অভিযুক্ত রেজাউলকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এফইএস/আরবি/