সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে একথা জানান তারা।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকরা বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন ও এই উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করার প্রশংসা করে বলেছেন, উন্নয়নের সব সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।
বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সুন্দরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে বলেও জানান নির্বাহী পরিচালকরা।
বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা অব্যহত রাখবে জানিয়ে বিশ্বব্যাংকের এই শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংক তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনেও সহযোগিতা করবে এ সংস্থা।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে তাদের অবস্থা দেখে আসার কথা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন নির্বাহী পরিচালকরা।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রতিরোধমূলক কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চান বিশ্ব ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকরা।
‘ক্লাইমেট ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন, ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ এবং সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা এসময় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাধারণ মানুষ যেন উন্নয়নে সুযোগ-সুবিধা পায় সেজন্য তৃণমূলকে গুরুত্ব দিয়ে সরকারের সব ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, যে কোনো উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে আমরা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিকে গুরুত্ব দেই।
বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ৮২ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নেমে আসার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠনে জাতির পিতা আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সুবিধা নিশ্চিত করতে নেওয়া পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে মায়েদের উৎসাহিত করা এবং বৃত্তি-উপবৃত্তি, মিড ডে মিলসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।
শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সরকার ৪৯৩টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিয়েছে বলেও বিশ্ব ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের জানান প্রধানমন্ত্রী।
দেশে শিল্পায়নের লক্ষ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং সেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
দেশকে আরও এগিয়ে নিতে রেলপথ, সড়কপথ, বিমান ও নৌপথকে আরও আধুনিক করে গড়ে তোলার পাশাপাশি সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক অপর্ণা সুব্রামনি একই স্থানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এমইউএম/এইচএ/
** বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনালো বৃষ্টি, পেলো প্রধানমন্ত্রীর আদর