মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপি’র গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান।
মশিউর বলেন, সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অস্ত্র-গুলি প্রথমে বিহার থেকে কলকাতার অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় যেকোনো গোপন স্থানে রাখা হয়। পরবর্তিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন মত ও দর কষাকষি চূড়ান্ত হলে কলকাতার উত্তর চব্বিশপরগনা আংরাইল নামক সীমান্তবর্তী গ্রাম ও বাংলাদেশের বেনাপোল পুটখালী গ্রামের নদীতে গোসল করার কৌশলে অবৈধভাবে অস্ত্র নিয়ে আসা হয়। তারপর সুযোগ বুঝে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অস্ত্রগুলো সীমান্তের গোপন স্থান থেকে বের করে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে পৌঁছে দেয়।
মশিউর বলেন, তাদের এ অস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, জঙ্গি গোষ্ঠী, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিসহ নানা ধরনের নাশকতামূলক বা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ব্যবহার হয়ে থাকে। হাবিবুরের মাধ্যমে ভারতের উত্তরা চব্বিশ পরগনার বনগ্রাম গ্রামের জাহাঙ্গীর নামক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে জাহাঙ্গীর প্রত্যেকটি অস্ত্রের জন্য ৩০ হাজার করে টাকা নিয়ে থাকে। যার বিনিময়ে জাহাঙ্গীর ভারত থেকে অস্ত্র-গুলি সরবরাহ করে থাকে। সরবরাহ করা অস্ত্র বাংলাদেশে এনে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে উচ্চ দামে বিক্রয় করা হয়।
এ সংক্রান্তে মিরপুর মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান ডিবি পুলিশের এ কমকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, ০৫ নভেম্বর ,২০১৯
এমএমআই/ওএইচ/