ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কুষ্টিয়ায় মাদক-নারীপাচার মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৯
কুষ্টিয়ায় মাদক-নারীপাচার মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া সদর থানার মাদক মামলায় তিন জনের এবং দৌলতপুর থানার পৃথক নারীপাচার মামলায় এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন। এসময় আদালতে আসামিরা উপস্থিতি ছিলেন।

মাদক মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার মজমপুর গ্রামের (ঝাউতলা গলি) মহিরুল ওরফে মহিদুল (৫০), মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামের শিশির ওরফে নাহিদ (৪০) এবং ফজল মণ্ডলের ছেলে কাজল (৩২)।

এছাড়াও এ মামলায় আসামি মহিদুলের স্ত্রী রানী খাতুন (৩০) এবং পলাতক আসামি কাজীপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে হাসানকে ৫ বছরের কারাদণ্ডসহ জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

অপরদিকে, দৌলতপুর থানার নারীপাচার মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- উপজেলার চামনাই আল্লারদর্গা গ্রামের বাদল মণ্ডলের ছেলে সেলিম রেজাকে (৩৮) যাবজ্জীবনসহ এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ০৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আসামি মহিরুল ওরফে মহিদুলের নিজ বাড়িতে অভিযানকালে ৫৪২ বোতল ফেনসিডিল ও ১৩শ’ ৯০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ক্রয়-বিক্রয়রত আসামিদের আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে র‌্যাব বাদী হয়ে আটকদের নামে মামলা দায়েরসহ তাদের কুষ্টিয়া মডেল থানায় সৌপর্দ করে। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে পুলিশ।

এছাড়া ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা গ্রামের দিনমজুর আব্দুল করিমের মেয়ে রিতা আক্তারকে (১৯) চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসামি সেলিম রেজা ওই তরুণীকে ভারতে পাচার করেন। এ ঘটনায় ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে রেজার নামে দৌলতপুর থানায় মানবপাচার মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী বাংলানিউজকে জানান, মামলার প্রধান আসামি মহিরুলকে যাবজ্জীবনসহ এক লাখ টাকা, ২ নম্বর আসামি শিশির ওরফে নাহিদ ও ৩ আসামি মহিরুল ওরফে মহিদুলকে ৫০ হাজার টাকা করে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড, এবং ৪ নম্বর আসামি রানী খাতুন ও ৫ নম্বর আসামি হাসানকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

পৃথক নারীপাচার মামলায় আসামি রেজার যাবজ্জীবনসহ এক লাখ টাকা জরিমানা ধার্যসহ তা আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও নিলাম থেকে পাওয়া টাকা বাদীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতে বিজ্ঞ আদালত নির্দেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন ওই আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলাম বাপ্পী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।