তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক ঢাকা শহরে নতুন বিআরটি (বাস র্যাপিড ট্রানজিট) প্রকল্প করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু এ মুহূর্তে যেহেতু মেট্রোরেল ও বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলছে, তাই নতুন করে আরেকটি বিআরটি প্রকল্প নিয়ে ঢাকা শহরকে অচল করতে চাই না।
মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মাসেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৭৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে পদ্মাসেতু খুলে দেওয়া হবে। এছাড়াও কর্ণফুলী টানেলের কাজ ৪৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প পদ্মাসেতু। প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতার ফল আজকের পদ্মাসেতু। প্রধানমন্ত্রীর পরিবারকে অপবাদ দিয়ে বিশ্বব্যাংক যখন সরে যায়, তখন আকাশে ছিলো ঘনকুয়াশা ও মেঘ। তখন সবাই বললো, এ সেতু কী আর হবে? বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তখন সাহসের সঙ্গে বললেন, বিশ্বব্যাংক সরে গেছে, তাতে কী হবে, আমরা নিজস্ব অর্থে এ সেতু নির্মাণ করবো। তখন অনেকে ব্যাঙ্গ করেছিলো। কিন্তু আজ বাস্তব স্বপ্ন পদ্মাসেতু।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর দুনিয়ার নামিদামি বিশেষজ্ঞরা বললেন, পদ্মাসেতু নির্মাণ বাংলাদেশের পক্ষে কীভাবে সম্ভব। এখানের মাটি সরে যায়। পদ্মা নদীর যে মাটির অবস্থা, তীব্র স্রোত। আবার বালু, কাদা। এখন পর্যন্ত ১৫টি পিলার বসেছে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত আরো ৬টি টার্গেট। আশা করি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণ করা হবে।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু হবে বরিশাল ও ভোলার সংযোগকারী সেতু। ভায়াডাক্টের পরে প্রায় ৮ কিলোমিটার এ সেতুর ফিজিবিলিটি শেষ হয়েছে। সম্ভ্যাবতা যাচাই করা হবে।
সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
টিএম/জেডএস