মঙ্গলবার (০৫ নবেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সাংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইএলও সদর দপ্তরে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও এর মহাপরিচালক গাই রাইডারের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা বলেন।
বৈঠকে শ্রম প্রতিমন্ত্রী শ্রম পরিস্থিতি এবং শ্রমিকদের কল্যাণের বিষয়ে নেওয়া বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছরের নিচে কোনো শিশুকে যেকোনো ধরনের কর্মে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। শেখ হাসিনার সরকার আইএলও কনভেনশন-১৩৮ অনুসরণ করে গত বছর শ্রম আইনে সংশোধনী এনেছে। আগে শিশুদের হালকা শ্রমে নিযুক্তির সর্বনিম্ন বয়স ছিল ১২ বছর, এখন তা ১৪ বছর করা হয়েছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন সহজ করা, ডিজিটালাইজেশন এবং ৩০ থেকে ২০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থনে ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন সুবিধার কথা আবারও তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রমিকবান্ধব সরকার শ্রমিকদের কল্যাণ এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে সবকিছু করবে বলে আইএলও মহাপরিচালককে প্রতিমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে সু-সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে আইএলও মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতির অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আইএলও সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকে কাজ করবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
বৈঠককালে শ্রম প্রতিমন্ত্রী আন্তর্জাতিক এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার প্রতিষ্ঠার একশতম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মহাপরিচালকের হাতে ‘শুভেচ্ছা স্মারক’ তুলে দেন।
জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং রাষ্ট্রদূত এম শামীম আহসান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম, অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একে এম মিজানুর রহমান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক নজরুল ইসলাম বৈঠকে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস