মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত শিশু শোয়েবের মামা মো. রনি। এতে বাড়ির মালিক মৃত রউফ মিয়ার স্ত্রী জেবুন্নেছা, ছেলে আজাহার উদ্দিন, সুমন, বাবু ও মেয়ে শিউলিকে আসামি করা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, নিহত শিশু শোয়েবের মামা রনি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা সবাই বর্তমানে পলাতক। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ভবন মালিকদের অবহেলা, সরকারি নিয়ম না মানা ও প্রকৌশলীর অনুমোদন ছাড়া ভবননির্মাণ করা হয়েছে। ’ এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বাবুরাইল এলাকায় খালের ওপর নির্মাণাধীন এইচ এম ম্যানশন ভবনটি ধসে শোয়েব (১২) নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। নিহত শোয়েব ওই এলাকার মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে এবং বাবুরাইল ব্যাপারীপাড়ার সানরাইজ স্কুলের ছাত্র। আর মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয় নিখোঁজ অপর শিশু ইফতেখার আহমেদ ওয়াজিদের (১২) মরদেহ।
স্থানীয়রা জানান, ভবনটি মূলত একটি ডোবার ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল। সেখানকার মানুষরাও এ ব্যাপারে অনেকবার নিষেধ করেছিলেন। ভবনটি কোন সয়েল টেস্ট কিংবা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছিল। অতিরিক্ত লোড নিতে না পেরে রোববার এ ভবন ধসের ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
ওএইচ/