মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের জুয়ানপুর মধ্যপাড়া এলাকা থেকে ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ফাতেমা ওই গ্রামের নুর হোসেনের মেয়ে ও মজিবর রহমান মজনু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
জানা গেছে, ফাতেমা খাতুন মঙ্গলবার দুপুরের দিকে লাল রঙের জামা পড়ে স্কুলের কোচিংয়ে যাচ্ছিল। এ সময় বাবা নুর হোসেন তাকে অন্য জামা ও বোরখা পড়ে স্কুলে যেতে বলে। এতে অভিমান করে বসে ফাতেমা। দীর্ঘসময় ফাতেমার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে তার মা ঘরের ভেতর গিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। নিজের ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে বলেন, ফাতেমা তার বাবার সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। মেয়েটির মা প্রথমে ঘরে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করেন। এতে পরিবারের অন্য সদস্য ও আশপাশের প্রতিবেশীরা এই অবস্থা দেখে থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
কেইউএ/এফএম