মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলসের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ দাবি জানান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন এলিস ওয়েলস।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দাবি জানিয়েছি। আমরা বলেছি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই খুনিদের বিচার জরুরি। সে কারণে তাকে ফেরতের দাবি জানিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খুনিদের বিচার কার্যক্রমের কাগজপত্র তাদের দেওয়ার জন্য। আমরা বলেছি, কাগজপত্র দেবো।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। এ সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পাশে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভাসানচরের পরিস্থিতি জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, রোহিঙ্গাক্যাম্পে অনেক ঘনবসতি। পাহাড়ি ঢলসহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়। ফলে রোহিঙ্গারা যদি ভাসানচরে যায়, তাহলে তাদেরই ভালো হবে।
বৈঠকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, রাজনৈতিক সমাবেশের অধিকার নিয়েও আলাপ হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনদিনের সফরে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকায় এসেছেন এলিস ওয়েলস। তিনি থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি থাইল্যান্ডে ইন্দো প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামে যোগ দেন। সেখান থেকে ঢাকায় আসেন। এলিস রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজারও যাবেন। সফর শেষে তিনি ৭ নভেম্বর ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
টিআর/এএ