সূত্র জানায়, স্থানীয় সেলিমুল হক চৌধুরী ইয়াংছা হিমছড়ি এলাকায় একটি মৎস্য ও রাবার বাগান গড়ে তোলেন। সোমবার দুপুরে প্রকল্পের পানিতে বন্য হাতির মরদেহ ভাসতে দেখে বন বিভাগে খবর দেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন স্থানীয় অধিবাসী জানান, বিভিন্ন সময় হাতির পাল ওই বাগানে হানা দিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করে থাকে। এ কারণে বাগানে প্রায় সময় বিদ্যুতের ফাঁদ পেতে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করতেন প্রকল্পের মালিক। রোববার দিবাগত রাতে ৩০-৩৫টি বন্য হাতি খাবারের সন্ধানে প্রকল্পে ঢুকে বাগানের ক্ষতি করে। এ সময় একটি বাচ্চা হাতি পালানোর সময় বিদ্যুতের তারের সঙ্গে জড়িয়ে মারা যায়। একই প্রকল্পে ২০০৪ সালে আরো একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছিল।
প্রকল্পের মালিক সেলিমুল হক চৌধুরী ও জাহানারা আরজু বলেন, সম্ভবত হাতির বাচ্চাটি রোগাক্রান্ত ছিল। তাই চলাচলের সময় পানিতে পড়ে আর ওঠতে পারেনি, এতে হাতিটি মারা যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুয়েল মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, মৃত হাতিটির গায়ে ফোসকার চিহ্ন দেখা গেছে। নমুনা সংগ্রহ করা করে ময়নাতদন্তের জন্য সেগুলো চট্টগ্রাম পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে হাতিটিকে হত্যা করা হয়েছে. নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কাওছার, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার, উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন ও অংচিং মার্মাসহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস.এম কাওছার জানান, প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় লামা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এসএইচ