মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) বিকেলে ভবনের নিপে চাপাপড়া শিশু ইফতেখার আহমেদ ওয়াজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ৩ নভেম্বর ঘটনার পরেই স্থানীয় রোজিয়া বেগমের বাবা হারা একমাত্র সন্তান মো. সোহায়েরের (১২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আর ঘটনার ৪৬ ঘণ্টার পর ওয়াজিদের মরদেহ উদ্ধারের পরই উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন জানান, টানা দুইদিনের উদ্ধার কাজ বিকেল সাড়ে ৪টায় সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া খালের উপর হেলেপড়া ভবনটি উদ্ধারে মালিকপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রেহেনা আক্তার বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমাকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এতে রয়েছেন পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস প্রতিনিধি, রাজউক প্রতিনিধি, সদর ইউএনও এবং জেলা প্রকৌশলী সদর। ৮ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এরইমধ্যে কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সভা করেছেন। এর মধ্যে ভবন কোড মানা হয়েছে কিনা, ভবনের জায়গার মালিকানা সংক্রান্ত তথ্যসহ বেশি কিছু বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তদন্তের অগ্রগতি অনেক ভালো। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেন, এইচএম ম্যানশন ভবন হেলেপড়ার পর পাশে একটি দুইতলা ভবনের বাসিন্দাদের রোববার রাতেই সরিয়ে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার বিকেলে ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
জেডএস