মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ম্যুরাল উন্মোচন ও কেক কেটে উৎসবের উদ্বোধন করেন রবীন্দ্র স্মরণোৎসব আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে একশ’ বছর আগে সিলেটের এই সুরমা পাড়ে এসেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই উৎসবের কার্যক্রম শুরু হলেও আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় বিকেলে সুরমার তীরে চাঁদনীঘাট সিঁড়ি ক্বীন ব্রিজ এলাকায়। সুরমা নদী পার হয়ে উত্তর সুরমায় কবিগুরুর আগমন স্থল চাঁদনিঘাটে নদীতে ফুল দিয়ে কবিগুরুকে স্মরণ করে ‘শ্রীহট্ট ব্রাহ্ম সমাজ’। এরপর বের করা হয় এক সঙ্গীত শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি গিয়ে শেষ হয় বন্দরবাজারের ব্রাহ্মমন্দিরে। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘শব্দে ছন্দে রবীন্দ্র স্মরণ’।
এর আগে দুপুরে স্মরণোৎসবকে স্বাগত জানিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের আয়োজনে নগর ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শতবর্ষ আগে ১৯১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সিলেটে এসেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সে সময় ৭ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি সিলেটে অবস্থান করেন। কবিগুরুর সেই আগমনের শতবর্ষ পূর্তিতে উৎসবে মেতেছে সিলেটবাসী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্মরণোৎসব কমিটির সদস্য সচিব, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ অন্য অতিথিরা। সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী বক্তব্যের পর রবীন্দ্রনাথের আগমনের শতবর্ষ স্মরণে গানের তালে নৃত্য পরিবেশন করে শিশু শিল্পীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এনইউ/এইচজে