মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মনির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ফেনীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ খানের আদালতে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফেনীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হায়দার আলী আকন্দ বলেন, মনিরের মাইক্রোবাস ভাড়া করেন হত্যাকাণ্ডের বাকি আসামিরা। তারা ফখরুলকে ডেকে এনে গাড়িতে হত্যা করেন। পরে তার মরদেহ ফেলে দিতে বলেন মনিরকে। তাদের কথা মতো কাজ না করলে তাকেও হত্যা করার হুমকি দেন। মনির তাদের ভয়ে মরদেহ ফেলে চলে যান। পরে তিনি বাঁচতে কাতার চলে যান। মামলাটি দাগনভূঞা থানা থেকে পিবিআইকে হস্তান্তর করার পর পিবিআই তদন্ত করে মনিরের নম্বর সংগ্রহ করে তার সঙ্গে যোগযোগ করে। পরে কাতার থেকে কৌশলে সোমবার (৪ নভেম্বর) দেশে এনে গ্রেফতার করে।
২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের ব্রিজের পাশ থেকে ফখরুলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে দাগনভূঞা থানা পুলিশ। এ মামলায় দাগনভূঞা পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলামসহ সাতজনের নাম উল্লেখ ও ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেছেন নিহত ফখরুলের ভাই নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও মোবাইল, দু’টি মোটরসাইকেল ও হাইস গাড়ি উদ্ধার করেছে দাগনভূঞা থানা পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩২ ঘণ্টা, ০৬, ২০১৯
এসএইচডি/আরবি/