মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে শহরের ১৫টি পূজা মণ্ডপে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এ পূজার বিশেষ আকর্ষণ দিনের আলো শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জেলা থেকে দর্শনার্থীরা আসতে থাকেন।
কাত্যায়নী পূজা দেখতে ভারত থেকে আসা পূজা চক্রবর্তী বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আমার জানা মতে, কাত্যায়নী পূজা হয় না। আমি আমার স্বামী ও সন্তান নিয়ে মাগুরায় পূজা দেখতে আসছি। এখানে দৃষ্টিনন্দন গেট, প্যাণ্ডেল, সাউন্ড, লাইটিং অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার দিকে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
কাত্যায়নী পূজা দেখতে আমেরিকা থেকে আসা ওহিদুর রহমান বলেন, মাগুরায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে কাত্যায়নী পূজা খুবই জনপ্রিয়। এ পূজা উপলক্ষে গোটা শহরকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে তৈরি করা হয় গেট, প্যান্ডেল ইত্যাদি।
তিনি আরও বলেন, বর্ণিল এ আয়োজন দেখতে নেপাল, ভারতসহ অন্য দেশ থেকে বহু দর্শনার্থী ছুটে আসেন। তবে রাতেই বেশি লোকের সমাগম হয়। মূলত কাত্যায়নী পূজা রাতের পূজা।
সম্প্রীতির বার্তা দিতেই মাগুরাতে প্রতিবছরে দুর্গাপূজার ঠিক এক মাস পর বাংলা কার্তিক, ইংরেজি নভেম্বর মাসে আয়োজিত হয় পাঁচ দিনব্যাপী কাত্যায়নী পূজা। সমগ্র উপমহাদেশের আর কোথাও মাগুরার মতো এতোটা জাঁকজমকর্পূণভাবে কাত্যায়নী পূজা উদযাপিত হয় না।
সারাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে দুর্গাপূজা সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলেও মাগুরায় এর ব্যতিক্রম। তাদের কাছে মূল উৎসব কাত্যায়নী পূজা। জেলাজুড়ে এখন উৎসবের আমেজ।
মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার খান মহম্মদ রেজওয়ান বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ পূজায় নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন পূজামণ্ডপে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ, আনসার, র্যাব, গ্রাম পুলিশসহ সেচ্ছাসেবকরা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পূজা দেখে দর্শনার্থীরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন তার জন্য জেলা পুলিশ কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
ইএআর/আরবি/