বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ আদেশ দেন।
এছাড়াও এ মামলার জামিনে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি আরিয়ান হোসেন শ্রাবনের জামিন বাতিল করে শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে রিফাত হত্যা মামলার বাদীপক্ষের মনোনীত আইনজীবী এম. মজিবুল হক কিসলু বলেন, বুধবার রিফাত হত্যা মামলার ধার্য তারিখে বরগুনা জেলা কারাগারে থাকা প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়াও এ মামলার জামিনে থাকা আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিও আদালতে হাজির হন।
পরে আদালত প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের অভিযোগপত্রটি বিচারের জন্য প্রস্তত করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠান। এছাড়াও আদালত এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামি কামরুল হাসান সাইমুনকে অনার্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার অনুমতি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। এ মামলার পরবর্তী তারিখ ২০ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে রিফাত হত্যা মামলার জামিনে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি আরিয়ান হোসেন শ্রাবনকে শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো প্রসংঙ্গে তার আইনজীবী গোলাম মোস্তফা কাদের বলেন, গত ৩১ অক্টোবর রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের অভিযোগপত্র বিচারের জন্য প্রস্তুত করে বরগুনার শিশু আদালতে পাঠান সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
পরে বুধবার এ মামলার ধার্য তারিখে জামিনে থাকা আসামি আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ আদালতে হাজির হন। এরপর আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান তার জামিন বাতিল করে শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ১ আগস্ট এ মামলার তদন্ত শেষে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ককে অভিযুক্ত করে আদালতে পৃথক দু’টি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলার ২৪ জন আসামির মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মুসা এখনো পলাতক রয়েছেন।
২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড ২ জুলাই ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এর মধ্যে মামলার অন্য আসামিদেরও গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৯
আরএ