ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গারা প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৯
রোহিঙ্গারা প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে দ্রুত ফেরত পাঠাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। মানবিক কারণে তাদের আমরা আশ্রয় দিলেও তাদের কারণে আশ্রয়স্থল এলাকায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। এজন্য আমরা চাই দ্রুততম সময়ে তারা নিজ দেশে ফিরে যাক।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে পরিবেশ ও সমুদ্র বিষয়ক দক্ষিণ এশিয়া সহযোগিতা কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

তারা যত দ্রুত নিজেদের দেশে ফিরে যাবে, ততই বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার জন্য মঙ্গল। এছাড়া এসডিজি বাস্তবায়নে আমরা বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আগামী পাঁচ বছরে দেশের ২২ থেকে ২৪ শতাংশ অঞ্চল গাছপালায় আচ্ছাদিত হবে।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বকে বিনিয়োগে আরও বেশি অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, ভারতের পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী প্রকাশ কেশব জাভড়েকর, মালদ্বীপের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী আহমেদ মোস্তবাসহ প্রমুখ।

মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, সুন্দরবনকে আমরা যথাযথভাবে রক্ষা করছি, কেননা এটি আমাদের দেশের পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবুও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে আমাদের দেশের বন ধ্বংস ও নদী দূষণ হচ্ছে। এর অন্যতম একটি প্রধান কারণ আমাদের দেশের জনসংখ্যা। শহরগুলো অতিরিক্ত মানুষের চাপে শ্বাস নিতে পারছে না। তবুও পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে। দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে আমাদের পরিবেশ রক্ষায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সেদিক থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণে নিয়মনীতি মেনে চলার বাধ্যবাধকতা প্রয়োজন।

উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এখন প্লাস্টিকের ব্যবহার অত্যন্ত বেশি। এই প্লাস্টিক পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। উদ্ভিদকূল, জলজপ্রাণী ও দ্বীপ অঞ্চলের প্রাণীরা প্লাস্টিক বর্জ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সমুদ্রে প্রতি বছর অত্যন্ত বেশি পরিমাণে প্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে। তাই প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো উচিত এবং এদিক থেকে বাংলাদেশ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে পরিবর্তক হিসেবে বাংলাদেশ পাটের ব্যাগ ব্যবহারে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

ভারতের পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী প্রকাশ কেশব জাভড়েকর বলেন, পরিবেশের কোনো সীমান্ত নেই। ভারত সমুদ্র ও মাটি দু’স্থানেই পরিবেশ দূষণ রোধে কাজ করে যাচ্ছে। এ দূষণ রোধে দক্ষিণ এশিয়ার সবাই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

মালদ্বীপের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী আহমেদ মোস্তবা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এডিবির জলবায়ু এবং অর্থনীতি বিষয়ক প্রতিবেদনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আমাদের বার্ষিক জিডিপি দু’শতাংশ কমে যাবে। সেদিক থেকে আমাদের আরও বেশি করে সচেতনতা তৈরি এবং জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ এশিয়া সহযোগিতা কর্মসূচির মহা-পরিচালক ড. আব্বাস বশির, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদশেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।