বুধবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নে যুবদের অংশগ্রহণ শীর্ষক কর্মশালা ‘এসডিজি ফর দ্য ইয়ুথ, বাই দ্য ইয়ুথ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট এ কর্মশালার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, এসডিজির লক্ষ্য পূরণে যুব সমাজের অবদান রাখার সুযোগ করে দিতে হবে। ‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না’ এ স্লোগানের বাস্তবায়নে যুবশক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য। যুবদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে তাদের সৃজনশীল কাজে অংশগ্রহণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ও উন্নয়নে সম্পৃক্ত করতে হবে। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাদের কর্মপরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করলে এসডিজি লক্ষ্য পূরণ সহজ হবে।
শিরীন শারমিন বলেন, যুবকদের শক্তি, প্রত্যাশা ও সামর্থ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। এতে করে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন, বৃক্ষরোপণ অভিযানের মত সামাজিক কর্মসূচিই শুধু নয়, বরং দুর্যোগ প্রশমন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মত বৈশ্বিক বিষয়েও তারা অবদান রাখতে পারবে। এসডিজির লক্ষ্য পূরণে সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদও কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্পিকার আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। যুবসমাজের উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যুবসমাজকে যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এভাবে উন্নয়নের মূলধারায় তাদেরকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এসকে/এইচজে