বুধবার (৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে অরণ্য পলাশকে নিজের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা দেন হাছান মাহমুদ।
‘গন্তব্য’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েন অরণ্য পলাশ।
তাকে তথ্যমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা দেওয়ার সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) মো. মিজান-উল-আলম, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, ‘গন্তব্য’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক এলিনা শাম্মীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি নিজে যখন বিদেশে পড়াশোনা করতাম, তখন আমি হোটেল-রেস্তোরাঁয় কাজ করতাম। অর্থাৎ আমি নিজেও টি-বয়ের কাজ করতাম, সেখানে টি-বয় বলে না, ওয়েটার বলে। এটি বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই যে, আমি সেই কাজ করতাম। একদিন-দু’দিন নয়, আমি বিদেশে অনেকদিন ছিলাম মাস্টার্স ও ডক্টরেট করার জন্য। সেখানে অনেক দিন কাজ করেছি, মাসের পর মাস। কোনো কাজই অসম্মানের নয়।
‘অরণ্য পলাশের এই পরিস্থিতি দেখে আমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব- সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি যে, তাকে আমরা কোনোভাবে সহায়তা করতে পারি কি-না। আজকে তাকে ডেকেছি ব্যক্তিগতভাবে আমার পক্ষ থেকে সহায়তা করার জন্যে। কারণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহায়তা করতে হলে একটা প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। আপনারা জানেন, সরকার যে অনুদান দেয়, সেটার একটা কমিটি আছে, সেই কমিটির মাধ্যমে অনুদান অনুমোদিত হতে হয়। কমিটির সঙ্গে আমি কথা বলবো, তার এই চলচ্চিত্র যেন মুক্তি পায়, সেজন্য আরও কী খরচ দরকার, কিছু খরচ তো সে করে ফেলেছে। আর কী সহায়তা দরকার, কমিটির সঙ্গে সেটি আলোচনা করবো। ’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আবারও বলবো, কোনো কাজই কিন্তু অসম্মানের না, সব কাজই সম্মানের এবং সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কাজকে কোনো পেশাকে অসম্মানিত করে কোনো কিছু বলা কারও উচিত নয়। সব মানুষ সম্মানের, সব কাজ সম্মানের।
‘আমি শুরুতেই বলেছি যে আমি নিজেও রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করেছি, অর্থাৎ টি-বয়ের কাজ করেছি, সুতরাং আপনার মনে কষ্ট পাওয়ার কোনো কারণ নেই’- অরণ্য পলাশকে বলেন ড. হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এইচএ/