বুধবার (০৬ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মশিয়ার রহমান জনাকীর্ণ আদালতে ধর্ষণ মামলার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
অপরদিকে, শিশু অপহরণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামিই পলাতক ছিলেন।
শিশু অপহরণ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার বাহিরমাদী চর এলাকার মৃত সাদেক আলী শেখের দুই ছেলে আজাদ শেখ ও সিরাজুল ইসলাম এবং বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানার কামলা গ্রামের মৃত আশরাফ আলী শিকদারের ছেলে রুবেল শিকদার। তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- উপজেলার রাজিনাথপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩০)। তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেল ৪টায় আজাদ শেখ, সিরাজুল ইসলাম ও সাইফুল সদর উপজেলার খাজানগরে কুরবান আলীর বাড়িতে বেড়াতে আসে। এরপর তারা কুরবান আলীর তিন বছরের কন্যাশিশু সুমাইয়াকে অপহরণ করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় সুমাইয়ার বাবা কুরবান আলী বাদি হয়ে আজাদ শেখ ও সিরাজুল ইসলাম এবং সাইফুলের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আজাদ শেখ, সিরাজুল ইসলাম এবং রুবেল শিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
এছাড়া, ২০১৭ সালের ০১ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টায় আসামি আরিফুল প্রতিবেশি ১৬ বছরের এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় প্রতিবন্ধীর চাচা আবুল কালাম বাদি হয়ে আরিফুল ইসলামের নামে খোকসা থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশ।
আদালতের (ভারপ্রাপ্ত) সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বাপ্পী জানান, কুষ্টিয়া মডেল থানার অপহরণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বিজ্ঞ আদালতের রায়ে অপহরণ মামলার তিনজন আসামিকে যাবজ্জীবন এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সাজা দেন। পৃথক খোকসা থানার ধর্ষণ মামলায় আসামি আরিফুল ইসলামের যাবজ্জীবনসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এনটি