উদ্যোগটি নিতে বুধবার (০৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী নগর ভবনের সিটি হলরুমে সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কর্মসূচির সাথে মিল রেখে রাজশাহীতে বহুমাত্রিক উৎসবের আয়োজন করা হবে।
তিনি জানান, আয়োজনে থাকবে ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, ঘুড়ি ওড়ানো উৎসব, নৌকা বাইচ ও সাংস্কৃতিক উৎসব। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান, কবিতা, ছড়া-গান ও দেয়াল চিত্রের আয়োজন করা হবে।
কেন্দ্রীয়ভাবে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উদ্বোধন, মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা, নওহাট ও কাঠালবাড়িয়া মোড়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গেট নির্মাণ, প্রতিটি ওয়ার্ডে সপ্তাহে একটি করে রক্তদান কর্মসূচি এবং মাসিক ফ্রি মেডিক্যাল টিম গঠন। একইসঙ্গে, জাতির পিতার জীবনী সম্পর্কিত বই স্কুলে স্কুলে বিতরণ, বইপড়া প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কোনো বিশেষ সড়কে অথবা পার্কে বঙ্গবন্ধুর প্রিয় ফলের ১০০টি চারা রোপণ। সেইসঙ্গে আয়োজনে থাকবে, রাজশাহীর প্রতিটি ওয়ার্ডে কর মেলা, কর মেলায় সারচার্জ মওকুফ, অন্যান্য রিবেট ও করহ্রাস সুবিধা, গ্রিন প্লাজায় মাসব্যাপী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন, মহানগরের যেকোনো একটি সড়ককে বঙ্গবন্ধু স্মরণী নামে নামকরণ, নগরীর সকল শিশুদের অংশ গ্রহণে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে রচনা এবং চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা।
জন্মশতবার্ষিকীর আরও আয়োজনের মধ্যে রয়েছে, এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধ কল্যাণে মহানগরীর প্রতিটি মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন, প্রধান প্রধান সড়ক ও আইল্যান্ডে আলোকসজ্জা ও নানা বয়সীদের জন্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
সভাপতির বক্তব্যে মেয়র আরও বলেন, জাতির পিতার জন্মদিনে কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শোভাযাত্রা ও কেক কাটার ব্যবস্থা করা হবে। শহরের প্রধান সড়ক ও মোড়ে ডিজিটাল ডিসপ্লে ও স্ক্রিন স্থাপন, আনন্দভোজ আয়োজন, রাজশাহী শহরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত ( ভুবন মোহন পার্ক) স্থানে জাতির পিতার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করাসহ ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে।
সবশেষে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, কর্মসূচিতে প্রয়োজন অনুযায়ী সংযোজন-বিয়োজন করা হতে পারে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড সরিফুল ইসলাম বাবু, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাওগাতুল আলম, সচিব আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহ ও প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এসএস/কেএসডি/