বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।
বুধবার (০৬ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আইএফসি প্রকাশিত দ্য বিজনেস বেনিফিটস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অফ এমপ্লয়ার-সার্পোটেড চাইল্ড কেয়ার ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, আর্ন্তজাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মতে দেশে বেকার নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় দ্বিগুণ।
আইএফসি দেশের বেসরকারি খাতের ৩০৬টি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিয়ে এই গবেষণা করেছে। এদের মধ্যে অলাভজনক, উৎপাদনমুখী, আর্থিক সেবাদানকারী, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের মাত্র ২৩ শতাংশে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র রয়েছে। ১৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র করার পরিকল্পনা থাকলেও ৬১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের কোনো পরিকল্পনাই নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রম শক্তিতে নারীর অংশগ্রহণে সবচেয়ে বড় বাধা সাশ্রয়ী অর্থে ভালোমানের শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র না পাওয়া। একই সঙ্গে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে খরচের একটি বড় অংশ মায়ের বহন করতে হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে পরামর্শ হিসেবে বলা হয়েছে, কর্মীদের সন্তানদের শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র করা হলে কর্মী ও প্রতিষ্ঠান সবার জন্য সমান বিজয়। এতে শিশুর শারীরিক ও জ্ঞানের বিকাশ ঘটবে। একই সঙ্গে নারী কর্মীদের কাজের সুযোগ বৃদ্ধি পেলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা ও মুনাফা বাড়বে। যাতে দেশের আর্থ সামাজিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে।
দেশের আইন অনুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠানে ৪০ জনের বেশি নারী কর্মী থাকলে, সেখানে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের সুবিধা থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র না থাকার কারণে যেসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে এবং নারী কর্মীদের সন্তানদের জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র সুবিধা প্রদানের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি এই গবেষণা চালিয়েছে আইএফসি।
শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র সুবিধা প্রদানের জন্য ২০১৭ সালে আইএফসি পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও ভারতে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের উপর আলাদা গবেষণা চালিয়েছে।
বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের আইএফসি কান্ট্রি ম্যানেজার ভেন্ডি ওয়ার্নার বলেন, কর্মীদের জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে মানসম্পন্ন নারী কর্মীদের ধরে রাখতে পারে। প্রতিষ্ঠানে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র এবং কাজের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা হলে কর্মী এবং প্রতিষ্ঠান উভয়ই লাভবান হতে পারে।
কর্তৃপক্ষের সহায়তায় শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র দেশের সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন খাতে শক্তিশালী ব্যবসার ইঙ্গিত দেয়।
চলতি বছরের মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত কানাডিয়ান সরকারের অর্থায়নে ৭৫ জনের অধিক কর্মী ও ৪০টি প্রতিষ্ঠানের নিয়ে এই গবেষণা পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এসই/এইচএডি