বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে যশোর শহরের দড়াটানা থেকে তাকে আটক করা হয়। আমির যশোর সদর উপজেলার ডহেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, নিহত অন্তঃসত্ত্বা নারীর বাবার দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুফিয়া খাতুনকে (৩০) শনিবার (২ নভরম্বর) বিকেলে পিটিয়ে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করেন আইনজীবী আমির। এরপর তড়িঘড়ি করে রাতেই সুফিয়ার মরদেহ দাফনের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ শনিবার রাতে দাফনে বাধা দেয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে সুফিয়ার বাবা যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা পূর্বপাড়ার সিরাজুল ইসলাম আইনজীবী আমিরকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্তজা মঙ্গলবার () পেশাগত অসদাচরণ, সংগঠনের সুনাম ক্ষুন্ন ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় কেন সদস্য পদ বাতিল করা হবে না তার কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন আমিরকে। পত্রপ্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
ইউজি/আরআইএস/