বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজে মাসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রোগ্রাম শীর্ষক কর্মশালা শেষে প্রতিষ্ঠানের চার শতাধিক ছাত্রী এ দাবির পক্ষে গণস্বাক্ষর করেন।
ফোরামের আহ্বায়ক মারজিয়া প্রভার পরিচালনায় কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রীরা মাসিক সম্পর্কে তাদের ধারণা প্রকাশ করেন।
কর্মশালায় মেয়েদের নিরাপদ মাসিক, স্যানেটারি প্যাড ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করা হয়। এর পাশাপাশি কলেজকে একটি ইমার্জেন্সি প্যাড কর্নার প্রদান করে নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফোরাম (নাসাসু)।
সেখান থেকে কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের মাসিকের দিনগুলোতে অন পেমেন্ট প্যাড সংগ্রহ করতে পারবেন।
সংগঠনের আহ্বায়ক মারজিয়া প্রভা বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৫ সালের মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরিপত্রে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইমার্জেন্সি প্যাড কর্নার চালুর কথা বলা হয়। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন হচ্ছে না। এজন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি প্রত্যেক কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে মাসিককালীন স্যানেটারি ন্যাপকিন দিতে হবে। সারাদেশে মোট সাতটি দাবিতে আমরা এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চালাচ্ছি। যার উদ্বোধন মৌলভীবাজার থেকে করা হয়েছে।
এছাড়া আমাদের দাবি হচ্ছে- আগামী ২০২০-২১ বাজেটে স্বাস্থ্য খাত, সামাজিক সুরক্ষা খাত এবং কল্যাণমূলক খাত থেকে বিনামূল্যে প্যাড প্রদানের জন্য বরাদ্দের ব্যবস্থা করা, অতিস্বত্বর মাসিক ব্যবস্থাপনা নীতিমালা তৈরি করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে নারীদের জন্য আলাদা ওয়াশরুম এবং ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন কিশোরী ক্লাবে শিক্ষার্থীদের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান, নারীদের মধ্যে মাসিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে দক্ষ স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ, বাজারে উৎপাদিত জেল প্যাডকে সম্পূর্ণ না করে, পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যসম্মত অর্গানিক কটন স্যানেটারি প্যাড তৈরির জন্য সরকারের আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
আরআইএস/