ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কৃষক পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৯
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কৃষক পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ইউনি স্ট্রাপ পিটারসেন সাক্ষাৎ

ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নের ফলে কৃষক তাদের পণ্যে সহজে বাজারজাতকরণ করছে ও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। 

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অঞ্চলের উন্নয়নে ১৭টি প্রকল্প ও স্কিম বাস্তবায়ন করছে। একই সঙ্গে কৃষকদের কফি ও কাজু  বাদাম চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ইউনি স্ট্রাপ পিটারসেন সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব সুদত্ত চাকমা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে যে সব দেশ এগিয়ে আসে ডেনমার্ক তার মধ্যে অন্যতম। দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। শান্তিচুক্তির পর এখানে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, অবকাঠামো ও পর্যটনখাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সালে ২ ডিসম্বের পার্বত্য শান্তিচুক্তি সই হয়। প্রাকৃতিক ও নৈসর্গিক ক্ষেত্র পার্বত্য চট্টগ্রাম। এখানে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো তঞ্চঙ্গ্যাসহ বহু ভাষাভাষী মানুষ বসবাস করে। তাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ ও ভিশন ২০৪১ এর আলোকে ইতোমধ্যে পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, নারীর ক্ষমতায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও পর্যটনখাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।  

এসময় মন্ত্রী রাষ্টদূতকে পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখায় ধন্যবাদ জানান ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি রাষ্টদূতকে পার্বত্য চট্টগ্রামের অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সফরের আমন্ত্রণ জানান।

রাষ্টদূত বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে ডানিডা দীর্ঘদিন ধরে সহযোগতা করে আসছে। এ অঞ্চলের অধিবাসীদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও নারীর ক্ষমতায়নে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।