বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত রিমান্ডে শেষদিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাদের।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জি কে শামীমকে পঞ্চমদিন ও খালেদকে চতুর্থদিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করে রিমান্ড শেষ করেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তারা। সেখান থেকে তাদের ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ৩ নভেম্বর জি কে শামীম ও ৪ নভেম্বর খালেদ মাহমুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে আনা হয়।
গত ২৭ অক্টোবর দুদকের এক আবেদেনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আল মামুন তাদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিলেন।
গত ২১ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ খালেদ ও শামীমের বিরুদ্ধে মামলা দু’টি দায়ের করা হয়। জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন।
‘অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ’ ২৯৭ কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করার অভিযোগ আনা হয় সেখানে।
এদিকে খালেদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের আরেক উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
এ মামলায় খালেদের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার ক্লাবপাড়ায় অভিযান শুরুর প্রথমদিনেই গুলশানের বাসা থেকে খালেদকে গ্রেফতার করা হয়।
জি কে শামীমকে গ্রেফতার করা হয় ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
এসএমএকে/এএ