ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তামাক নিয়ন্ত্রণনীতিতে বাধা দিচ্ছে সিগারেট কোম্পানিগুলো!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৯
তামাক নিয়ন্ত্রণনীতিতে বাধা দিচ্ছে সিগারেট কোম্পানিগুলো! প্রতীকী ছবি

ঢাকা: জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণনীতি-২০১৯ প্রণয়নে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে সিগারেট কোম্পানিগুলো। তাদের প্রতিনিধিরা সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে জোর লবিং শুরু করেছে।
 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের ৫ নভেম্বর এনবিআর চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে অংশ নিয়ে খসড়া জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিমালায় নিজেদের মতপ্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেন সিগারেট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা।

এবিষয়ে এনবিআরের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করার দাবি জানান তারা। তামাক কোম্পানির প্রতিনিধিদের এই দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণনীতি চূড়ান্তকরণের আগে কোম্পানিগুলোর মতামতের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর। এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়কে রাজস্বভীতি দেখিয়ে নীতিমালা ক্ষতিগ্রস্ত করতে চিঠি দিয়েছিল সংগঠনটি।

সিগারেট কোম্পানির প্ররোচনায় এনবিআরের এধরনের উদ্যোগ তামাক নিয়ন্ত্রণের আন্তর্জাতিক চুক্তির (ডব্লিউএইচও ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি) সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩-এর ১৩ ধারায় তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সরকারকে তামাক কোম্পানির প্রভাবমুক্ত থাকতে সুপারিশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতি বছর তামাক ব্যবহারের কারণে ১ লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে এবং তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতায় বছরে ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।

তামাক ব্যবহারজনিত এই ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়াবহতা উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং এই লক্ষ্য অর্জনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণনীতি প্রণয়নের কাজ শুরু করে।

প্রজ্ঞার দাবি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে তামাক কোম্পানির বিভ্রান্তিমূলক প্রচেষ্টা ও হস্তক্ষেপমুক্ত থাকতে হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে, যা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের পথ সুগম করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
এসই/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।