বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) মঈনুদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা এসব কথা বলেন। এদিন একাদশ সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের শুরুতেই মঈনুদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব আনা হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, মঈনুদ্দিন খান বাদল অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সংসদে তিনি যে বক্তব্য দিতেন, তার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। মুক্তিযুদ্ধে মুজিববাহিনীর হয়ে অংশগ্রহণ করে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন বাদল।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, মঈনুদ্দিন খান বাদলের বক্তব্যে আমরা অনুপ্রাণিত হতাম। ১৪ দল গঠনেও তিনি ভূমিকা রেখেছেন। তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা একজন বিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হারালাম।
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, মঈনু্দ্দিন খান বাদল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। জন্মলগ্ন থেকেই তিনি জাসদের সঙ্গে ছিলেন এবং দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। স্বাধীন দেশে জিয়া, এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত যখন বাংলাদেশ দখল করে নেয়, তখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত ১৪ দল যে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে ওঠে, সেখানে মঈনুদ্দিন খান বাদল গুরুত্বপূর্ণ ও সাহসী ভূমিকা রাখেন। আমৃত্যু তিনি সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
এসকে/একে