বুধবার ও বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দু’দিনে কামড়ে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহতদের মধ্যে আটজন হলেন মনিপুরপাড়া গ্রামের শহর আলীর মেয়ে সোমা আক্তার, নজরুল ইসলামের মেয়ে তামান্না আক্তার, আল আমিনের স্ত্রী মোসাম্মৎ পারভীন, সন্দেশ আলীর স্ত্রী সোনাবানু, মো. মানিক মিয়ার ছেলে ওয়াজেদ আলী, সৈয়দ আলী শেখের ছেলে আব্দুল মজিদ, শাহজাহানের স্ত্রী খাদিজা খাতুন ও আব্দুল কাদিরের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. সুরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, বুধবার দিনগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পাগলা শিয়াল ১০জন গ্রামবাসীকে কামড়ে দিয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মানুষ ছাড়াও গরুছাগল কামড়িয়েছে শিয়ালটি। এ ঘটনায় সব গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বশেষ পরিস্থিতিতে সকালে গ্রামের খাদিজা ও মোস্তাফিজকে কামড়ালে শিয়ালটিকে দৌঁড়ঝাপ করে আটকের পর পিটিয়ে মেরে ফেলে স্থানীয়রা।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, শিয়ালের কামড়ে আহত ১০জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে সরবরাহ না থাকায় কাউকে সরকারিভাবে সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় ওষুধ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি ভ্যাকসিন ৪৩০ টাকা থেকে সাড়ে ৪শ টাকা করে বিক্রি হয়। আক্রান্ত আহত একজন ব্যক্তির চারটি ভ্যাকসিন নিতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এএটি