বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাদের আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ মামলায় গ্রেফতাররা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার যশোর মনিরামপুর জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত কুমার এবং কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা অফিস সহকারী রফিকুল।
এর আগে, একই দিন দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের নিচ তলায় সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযানে তাদের আটক করা হয়। সেসময় তল্লাশি চালিয়ে এক লাখ ৪ হাজার ৪শ’ টাকা জব্দও করা হয়।
এ ঘটনায় দুদক কুষ্টিয়া কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক নাছরুল্লাহ হোসাইন বাদী হয়ে একটি নিয়মিত মামলা করেন দুদক কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক দপ্তরে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা সরকারি কর্মচারী হয়ে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজসে অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল সম্পাদনে আসা দলিল দাতা ও গ্রহীতার কাছ থেকে দলিল প্রতি সরকারি নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করতেন। আসামিদের কাছ থেকে জব্দ করা ১ লাখ ৪ হাজার ৪শ’ টাকা চলতি সপ্তাহে সম্পাদিত দলিল দাতা ও গ্রহীতাদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে বলে অফিস সহকারী রফিকুলের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জানা যায়।
দুদকের অভিযানের সময় অফিস সহকারী রফিকুল এ টাকা সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমারের কাছে হস্তান্তরের সময় হাতেনাতে দুদকের হাতে ধরা পড়েন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
গ্রেফতার ওই দু’জনকে সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া ভারপ্রাপ্ত (জেলা ও দায়রা জজ) সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. তহিদুল ইসলামের আদালতে সৌপর্দ করলে আদালত শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এসআরএস