ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভারত ভাগের জন্য দায়ী কংগ্রেস: ভিসি হারুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৯
ভারত ভাগের জন্য দায়ী কংগ্রেস: ভিসি হারুন সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক হারুন অর রশীদ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ভারত ভাগের জন্য ব্রিটিশ শাসিত ভারতের সময়কার রাজনৈতিক দল কংগ্রেস দায়ী বলে দাবি করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক হারুন অর রশীদ। আর এজন্য কংগ্রেসের রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা দলটিকে ভারত ভাগে উৎসাহিত করেছে বলেও মন্তব্য করেন এ ইতিহাসবেত্তা। 

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর এশিয়াটিক সোসাইটি মিলনায়তনে ‘লুকিং ইনটু দ্য পাস্ট ফর এ ফিউচার: শেয়ার্ড হিস্টোরি অব ইন্ডিয়াস নর্থ ইস্ট উইথ বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সেমিনারের উদ্বোধন করেন ভিসি হারুন অর রশীদ।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ভারত ভাগের জন্য মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে দায়ী করা হয়।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তারাই বরং ভারতকে বিভাগের হাত থেকে রক্ষার জন্য কাজ করেছেন। ভারত বিভাগের জন্য প্রথমত দায়ী হচ্ছে ব্রিটিশ শাসন বা ব্রিটিশ কলোনিয়াল ব্যবস্থা। ব্রিটিশরা আমাদের শাসন না করলে হয়তো ভারত বিভক্ত হতো না। আর দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে কংগ্রেস ভারত বিভক্তিতে সব থেকে বেশি অ্যাডভোকেসি করেছে। নিজের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাব থেকেই তারা এমনটা করেছে। তবে ভারত ভাগের সিদ্ধান্তও ছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, একটি দারুণ ভবিষ্যতের জন্য আমাদের পেছনের ইতিহাস দেখতে হবে। এতে করে আমাদের মধ্যেকার সম্পর্ক ও সমঝোতা আরও বাড়বে।

ভৌগলিক, অর্থনৈতিক, সংস্কৃতি, পর্যটন এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগে আমাদের এ ইতিহাস অনেক সাহায্য করে। ইতিহাস জানতে এ ধরনের কর্মশালা, সেমিনার এবং পারস্পরিক ভ্রমণ জরুরি।

এশিয়াটিক সোসাইটি এবং আসামের অমিয় কুমার দাস ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করছেন। এতে  গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ভূপেন শর্মা।  

তিনি বলেন, সেমিনারের দুই দিনে আমাদের আঞ্চলিক ইতিহাস নিয়ে আমরা জানবো। বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এবং মিলিত ইতিহাস আছে আমরা সেগুলো জানবো। সীমান্তের ওপারে থাকা মানুষদের সঙ্গে আমাদের কি সম্পর্ক সেগুলো আমরা জানবো। এর ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব এবং সামাজিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।  

সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মাহফুজা খানম।  

দুই দিনের আয়োজনে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় ১০ জন শিক্ষক ও গবেষক বিষয়ের আলোকে নিজেদের লেখা তুলে ধরবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এসএইচএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।