আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) এসব পর্যটক টেকনাফ ফেরার কথা ছিল।
তবে জেলা প্রশাসন বলছে, আটকেপড়া পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে এ রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে এবং সেখানে আটকেপড়া পর্যটকদের নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আবসার বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার পর্যন্ত চার নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত চলছে। সংকেত আরও বাড়তে পারে। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ফের জাহাজ চলাচল শুরু হবে।
জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর থেকে এ রুটে তিনটি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়। মৌসুমের শুরুর দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হতে না হতেই বৈরী আবহাওয়া তৈরি হয়। ফলে শুক্রবার থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখায় দ্বীপটিতে আটকা পড়েন প্রায় এক হাজার পর্যটক।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হাবিব উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, আটকেপড়া পর্যটকেরা দ্বীপের প্রায় শতাধিক হোটেল-মোটেলে অবস্থান করছেন। উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আবসার আরও জানিয়েছেন, আটকেপড়া পর্যটকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। এ বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, নভেস্বর ০৮, ২০১৯
এসবি/জেডএস