ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কালুখালীতে প্রতিবন্ধীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৯
কালুখালীতে প্রতিবন্ধীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ 

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ী ইউনিয়নে মীর্জা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বিস্কুট (৪৫) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী রাখালকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

নিহত গোলাম কিবরিয়া বিস্কুট কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মান্নান মির্জার ছেলে।

তিনি গত কয়েক বছর ধরে প্রতিবেশী সবজি ব্যবসায়ী মঞ্জু শরীফের বাড়িতে মাত্র ১৫শ’ টাকা মাসিক বেতনে রাখালের কাজ করতেন।

অভিযোগ উঠেছে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঞ্জু শরীফ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে প্রতিবন্ধী বিস্কুটকে গুরুতর জখম করে। ঘটনার এক দিন পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।  

ঘটনার পর অভিযুক্ত মুঞ্জ শরীফ পালিয়ে গেছে। তবে তার পরিবারের সদস্যরা প্রতিবন্ধী বিস্কুটকে লাঠি দিয়ে পেটানোর কথা স্বীকার করেছে।

নিহত বিস্কুটের স্ত্রী শাবানা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত বুধবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মঞ্জু শরীফ ফোন করে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখি কাচি ধার করা নিয়ে কথা কাটাকাটি করে মঞ্জু শরীফ আমার স্বামীকে অনেক মারছে। তারা বলেছে যে লাঠি দিয়ে মাত্র দু’টি বারি দিয়েছে। কিন্তু আমার স্বামী বলেছে তারা অনেক পিটিয়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের মেয়ে মির্জা নিশী বলেন, আমার বাবাকে যে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
নিহতের ভাতিজা জগলুল করিম বলেন, আমার চাচার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত ও জখমের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পর থেকে মঞ্জু এলাকা থেকে পালিয়েছে। আমরা তার শাস্তির দাবি জানাই।

কালুখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান জানান, সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।