এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে ৩৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ও সাড়ে ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির এক জরুরি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইসরাত সাদমীন জানান, উপকূলীয় ৩ উপজেলায় সকালে জরুরি সভা শেষে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে এবং বিকেল থেকে এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে প্রত্যেক উপজেলায় ২০০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে ৩০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা, ৩০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, এছাড়াও পর্যাপ্ত শুকনো খাবার প্রস্তুত আছে।
প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত পতাকা টাঙানো হয়েছে। এছাড়া, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নদীতে থাকা নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে ১১টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
আরএ