ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাতক্ষীরায় খোলা হয়েছে ২৭০ আশ্রয়কেন্দ্র, ছুটি বাতিল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৯
সাতক্ষীরায় খোলা হয়েছে ২৭০ আশ্রয়কেন্দ্র, ছুটি বাতিল জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা

সাতক্ষীরা: ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় জেলার ২৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১২শ স্কুল-কলেজ বিকল্প আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রয়েছে। ছুটি বাতিল করা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। দুর্যোগকালীন জরুরি সেবার জন্য প্রত্যেক উপজেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণকক্ষ।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের শনিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার মধ্যে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার নির্দেশ দেন।

একই সঙ্গে প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিক্যাল টিম প্রস্তুতকরণ, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খাওয়ার পানি মজুদ রাখা, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জেলায় ১১০ মেট্রিক টন চাল ও ৪২ হাজার টাকা মজুদ ছিল উল্লেখ করে বলেন, ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়েছে। স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ও তিনজন এসিডির মাধ্যমে ৭টি উপজেলার দুর্যোগ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রী পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন স্তরে রাখা সম্ভব।  

সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বদিউজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এমএম মাহমুদুর রহমান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, শ্যামনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান সাইদ, আশাশুনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম চক্রবর্তী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায়সহ প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস এবং অন্য সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।