উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর স্থানীয় আবহাওয়া ও অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণের জন্য জেলার রামগতিতে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম শ্রেণির এ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
আলেকজান্ডার ইউনিয়নের চর সেকান্তর গ্রামে ২০০২ সালে এটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দু’টি ভবন নির্মাণ, যন্ত্রপতি স্থাপন ও লোকবল নিয়োগ করা হলেও আবহাওয়া কেন্দ্রটির কোনো কার্যক্রম তাদের চোখে পড়েনি। কর্মকর্তারা থাকেন না কর্মস্থলে। মেলে না কোনো সেবা ও তথ্য। সরকারের বিপুল অর্থ ব্যয়ে নির্মিত কেন্দ্রটি থেকে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) পর্যন্ত কোনো সেবা পাওয়া যায়নি। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব ও তার গতিবিধি সম্পর্কে কেন্দ্রটি থেকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। করা হয়নি সর্তক। এমন পরিস্থিতে ক্ষোভ ও অশন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
জানা যায়, ২০১৭ সালে চালু প্রথমশ্রেণির এ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারটির জন্য দু’জন কর্মকর্তা ও দু’জন আনসার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েও কী দায়িত্ব পালন করছেন তারা- এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, তথ্য না পাওয়ার প্রধান কারণ আনসার সদস্য ছাড়া অন্য যে দু’জন কর্মকর্তা রয়েছেন তারা কর্মস্থলে থাকেন না। কর্মকর্তারা অফিস করেন না, কালে-ভদ্রে আসেন।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য ওই অফিসে গিয়ে একজন আনসার সদস্য ছাড়া অন্য কাউকে পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যায় ফোন দিয়ে জানা যায় অফিসের প্রধান কর্মকর্তা সিনিয়র ওয়েদার অবজারভার মো. সোহরাব হোসেন চাঁদপুর থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
জানতে চাইলে সিনিয়র ওয়েদার অবজারভার মো. সোহরাব হোসেন বলেন, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার এখনও উদ্বোধন হয়নি। রয়েছে লোকবল সংকট। অন্য প্রায় সব যন্ত্র স্থাপন করা হলেও বৃষ্টি নির্ণয়ের যন্ত্রটি স্থাপন করা হয়নি। এছাড়া বিদ্যুতের লো ভোল্টেজের সমস্যাও রয়েছে।
এসব বিষয়টি তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল মোমিন জানান, শনিবার (৯ নভেম্বর) সরেজমিনে ওই আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সম্পর্কে তথ্য নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এসআর/এমআইএইচ/এএ