শুক্রবার (৮ নভেম্বর) গভীর রাত পর্যন্ত পটুয়াখালী, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, গলাচিপা, বাউফল, দশমিনা মির্জাগঞ্জ ও দুমকির বেড়িবাঁধ এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছে ফায়ার সার্ভিস, কমিউনিটি ভলান্টিয়ার, পটুয়াখালী ইয়ুথ ফোরাম, রেডক্রিসেন্টে, সিপিপি ও পুলিশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শনিবার সন্ধ্যায় উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি, এই তথ্যে জনসাধারণকে শেল্টারে নিয়ে আসতে সকালে কাজ শুরু করবে প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকরা।
এদিকে পটুয়াখালী জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ৮টায় কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান।
জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, পটুয়াখালী জেলায় দুর্যোগাক্রান্তদের আশ্রয় নেওয়ার জন্য ৪০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি সহায়তার জন্য ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ৩০০ মেট্রিকটন চাল, ৩৫০ বান্ডেল ঢেউটিন, সাড়ে তিন হাজার কম্বল বরাদ্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্যোগ প্রস্তুতি, দুর্যোগ মোকাবিলা ও দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য সব সিপিপি সদস্য এবং অন্য স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বর্তমানে পায়রা বন্দরসহ সব সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করায় জরুরি কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় থেকে রেহাই পেতে মসজিদে মসজিদে দোয়া ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। জুমার নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া ও জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সন্ধ্যায় বাদ মাগরিব জেলার মসজিদগুলোতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা প্রচারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
জাতীয় এবং জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার প্রায় দু’হাজার মসজিদে বিশেষ দোয়া করা হয়েছে।
এছাড়াও মাগরিবের নামাজের পর উপকূলীয় উপজেলা মসজিদের মাইকে জনগণকে সর্তক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ