বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল মাত্রার ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ উপকূলের ৫শ কিলোমিটারের মধ্যে প্রবেশ করায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা যাচ্ছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
আর কক্সবাজারে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবাহাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড়ের আগে:
>যথাসম্ভব নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।
>এই সময়ে অনেক গুজব রটে। সে সবে কান দেবেন না।
>জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী কাছে রাখুন।
>লোকের মুখের কথা না শুনে শুধু সরকারি বার্তায় বিশ্বাস রাখুন।
>ঝড়ে গাছ পড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। তাই নিজের মোবাইল ফোন আগেই সম্পূর্ণ চার্জ দিয়ে রাখুন। বিপদের সময় যে কোনো মুহূর্তে মোবাইলের দরকার হতে পারে।
>পোষ্যদেরও বাড়ির ভিতর নিরাপদ স্থানে রেখে দিন।
ঘূর্ণিঝড়ের সময়:
>ঝড় শুরু হলে প্রথমেই বাড়ির ভিতরের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিন। তা না হলে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
>ঘরের দরজা-জানলা ভালো করে বন্ধ রাখুন। ফোটানো বা ক্লোরিন দেওয়া পানি পান করুন।
>ঝড়ের সময় যদি রাস্তায় থাকেন, তা হলে যত দ্রুত সম্ভব কোনো সুরক্ষিত স্থানে আশ্রয় নিন। গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটির নিচে দাঁড়াবেন না।
>রেডিও/ট্রানজিস্টারে খবর শুনুন।
ঘূর্ণিঝড়ের পর:
>ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে এমন কোনো বাড়িতে আশ্রয় নেবেন না।
>ছিঁড়ে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে হাত দেবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ