শনিবার সকাল থেকে থেমে থেমে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে বরিশালে। সঙ্গে মৌসুম অনুযায়ী তাপমাত্রা ও বাতাসের গতিবেগও স্বাভাবিক রয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল জেলায় ৩৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে বৃষ্টি দিনভর অব্যাহত থাকবে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ বাড়বে বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি (২২ নং) অনুযায়ী শনিবার সকাল ৬টায় পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। যে কারণে এ বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বন্দর সংলগ্ন উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী চর ও দ্বীপগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
সকাল থেকে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ।
তিনি জানান, উপকূলীয় এলাকায় প্রশাসন ও সিপিপিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সতকর্তামূলত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। বরিশাল বিভাগজুড়ে দুই হাজার ৯৪টি সাইক্লোন সেল্টারসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ভবনসহ পাকা ও নিরাপদ স্থাপনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়ের জন্য। প্রস্তুত করা হয়েছে এলাকা ও আশ্রয়কেন্দ্রভিত্তিক মেডিক্যাল টিম। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ এবং কোস্টগার্ডের সদস্যদেরও বিভিন্ন কাজে এরইমধ্যে নিয়োজিত রাখা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদ-নদীর পানি জোয়ারের সময় কিছুটা বাড়ছে। আর আবহাওয়া অফিস থেকে বরিশাল নদীবন্দরে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন।
তিনি বলেন, এর আগে গতকাল থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আর কেন্দ্রীয়ভাবে উপকূলমুখী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এমএস/এএটি