১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জানার পর সামান্য কিছু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছে। বেশিরভাগই অপেক্ষা করছে, চরম পর্যায়ের জন্য! এছাড়া বুলবুলের খবরে সাগরে থাকা মাছধরা ট্রলার ও নৌকা তীরে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।
শনিবার (০৯ নভেম্বর) সকালে বাগেরহাট দড়াটানা নদীতে দেখা যায় দুই শতাধিক মাছ ধরা ট্রলার সমুদ্র থেকে ফিরে এসেছে।
ট্রলারে থাকা জেলেরা বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের খবর পেয়ে প্রাণ বাঁচাতে চলে এসেছেন তারা। তবে এখনো অনেক জেলে সাগরে রয়েছেন। আসলে বঙ্গোপসাগর থেকে ঈচ্ছে করলেই চলে আসা যায় না, আসতে অনেক সময় লাগে বলে জানান তারা।
শরণখোলার দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আমিনুল খান বাংলানিউজকে জানান, ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জানার পর থেকে আমরা এলাকায় এলাকায় মাইকিং করে মানুষকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলছি।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মাসুদ সরদার বাংলানিউজকে বলেন, বুলবুলের প্রভাব মানুষকে জানিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আমাদের ৬টি টিম বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করছে। এছাড়া জেলার ৫টি স্টেশনে ৮টি টিম প্রস্তুত রয়েছে। পার্শ্ববর্তী জেলাতেও কথা বলা আছে, প্রয়োজনে সেখান থেকে কিছু ইউনিট বাগেরহাটের জন্য আনা হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বুলবুল মোকাবিলায় সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) সব কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছেন। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে ৩০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি খাবারের আরও প্যাকেট তৈরির ব্যবস্থা চলছে। দুর্যোগের সময় চিড়া যেহেতু বেশি প্রয়োজন হয়, তাই আমরা বাজারে কয়েকটি চিরা কলকে তৈরি রেখেছি যাতে প্রয়োজন হলে তারা আমাদের চিড়া সরবরাহ করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা ও প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম দুর্যোগের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলাতে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এসআরএস