শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে তা প্রবল আকার ধারণ করে। অবিরাম বৃষ্টিতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
বেলা ১১টার দিকে বাগেরহাট শহরের প্রেসক্লাব, মিঠাপুকুর পাড়, সাধাণার মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা জনমানব শূন্য দেখা যায়। অন্যান্য দিনে এসব জায়গায় থাকে জানকীর্ণ। তবে বৃষ্টির লক্ষণ দেখে স্থানীয় মানুষ এটাকে সিডরের মতো ভয়াবহ ঝড়ের আবাস মনে করছেন। কেউ কেউ এ ঝড়কে আকারের দিক থেকে সিডরের থেকেও বড় মনে করছেন।
স্থানীয় হামিদুর রহমান বলেন, এ ধরনের বৃষ্টির লক্ষণ ভালো না। এমন বৃষ্টি হলে, বড় ধরনের ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এদিকে বুলবুল‘র প্রভাব থেকে সবাইকে বাঁচাতে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মামুনূর রশীদ বলেন, চারটি উপকূলীয় উপজেলা মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল ও মোংলার ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনকে দুপুরের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য কাজ চলছে। সুন্দরবনের দুবলার চরের শুঁটকিপল্লির জেলেদের সরানোর জন্য র্যাব, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে।
কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট ইমতিয়াজ আলম বলেন, ৫০০ জন জেলেকে আশ্রয়কেন্দ্রে এনেছি। অন্য জেলেদের আনার প্রক্রিয়া চলছে। প্রয়োজনে কোস্টগার্ডের নিজস্ব ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এসএইচ