শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে বিডিআরসিএস’র সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় করণীয় শীর্ষক এক জরুরি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বিডিআরসিএস’র প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিম (এনডিআরটি), ন্যাশনাল ডিজাস্টার ওয়াটসন রেসপন্স টিম (এনডিডব্লিউআরটি), ইউনিট ডিজাস্টার রেসপন্স টিমের (ইউডিআরটি) সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকদের।
এছাড়া ১৩ জেলায় তাৎক্ষণিক রেসপন্সের জন্য নগদ ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় সদর দপ্তরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে একটি মেডিকেল টিম ও দু’টি সাইক্লোন পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুতে অ্যাসেসমেন্ট টিম। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্ভাব্য জেলাগুলোতে মজুদ রাখা হয়েছে হাইজিন কিটস, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, তারপলিন শিট, জেরিক্যান ও কম্বলসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী।
এদিকে, চটগ্রাম, বাগেরহাট, খুলনাসহ উপকূলীয় ১৩টি জেলায় রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) পরিচালিত উপকূলীয় জেলাগুলোর সব আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সোসাইটির ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত আপডেট তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। উপকূলবর্তী জেলা ইউনিটসহ অন্যান্য ইউনিটকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকরা সাত নম্বর সিগন্যাল ঘোষণার পর থেকে উপকূলীয় লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে কাজ করছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপ-মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির সব বিভাগের দায়িত্বরত পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি), ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি) ও পার্টনার অব ন্যাশনাল সোসাইটির প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
আরকেআর/আরআইএস/