ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পটুয়াখালীতে বাড়ানো হয়েছে সাইক্লোন শেল্টার ও ত্রাণ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৯
পটুয়াখালীতে বাড়ানো হয়েছে সাইক্লোন শেল্টার ও ত্রাণ 

পটুয়াখালী: প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় পটুয়াখালীতে আরও ২০০টি সাইক্লোন শেল্টার বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। এনিয়ে জেলাটিতে এখন প্রস্তুত ৬০৩টি সাইক্লোন শেল্টার, যা আগে ছিল ৪০৩টি। এছাড়া বাড়ানো হয়েছে ত্রাণ সামগ্রী। 

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাতিল করা হয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য দপ্তরের ছুটিও। যৌথভাবে কাজ করছেন প্রশাসন, পুলিশ, নৌ ও সেনাবাহিনী।

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড, কমিউনিটি ভলান্টিয়ার, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা। সব পদক্ষেপে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে কাজ পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (০৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ জরুরি সভায় ডিসি মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানান।

এসময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মইনুল হাসান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ারসহ সব সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুর্গম এলাকার ৭৪ হাজার লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে লোক না আশায় আরও  পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে লোক নিয়ে আসতে পুলিশ, প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা একসঙ্গে কাজ করছেন।

সভায় ডিসি মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জেলায় আরও ২০০টি সাইক্লোন শেল্টার বাড়ানো হয়েছে। এনিয়ে মোট ৬০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া সার্বিক বিষয় মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।  
কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর- ০৪৪১৬২৩৯৪ এবং মোবাইল নম্বর- ০১৩১৭৩৬৫১১৩।  
   
এদিকে, দুর্যোগে মানবিক সহায়তা বাড়িয়ে ৩০০ মেট্রিক টন চাল (যা ছিল ১০০ মেট্রিক টন), ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা (যা ছিল ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা), ১৬৬ বান্ডিল টিন এবং চার হাজার কম্বল (যা ছিল সাড়ে ৩ হাজার) মজুদ রাখা হয়েছে। মজুদ রাখা হয়েছে দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার।  

উপকূলীয় উপজেলার জেলেদের মাছ ধরার টলার নিয়ে তীরে অবস্থান নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। এছাড়াও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ৭৪টি মেডিক্যাল টিম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স ও পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।