শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১টায় নগরীর সদররোডের অ্যানেক্স ভবনের চতুর্থতলার সভাকক্ষে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতিমূলক সভায় একথা বলেন সেরনিয়াবাত।
মেয়র বলেন, চোখের সামনে কোনো দুর্যোগ দেখলে কারও নির্দেশনা ও অর্থের জন্য অপেক্ষা করা যাবে না।
তিনি বলেন, নদী তীরবর্তী স্থানে জনসাধারণের আশ্রয়ের জন্য বিদ্যালয়গুলো খোলা রাখা হয়েছে। শনিবার বিকেলের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বা সম্ভাব্য ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে এমন এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিসিসি মেয়র।
সেরনিয়াবাত বলেন, বিশেষ ব্যবস্থায় সন্তানসম্ভবা নারী, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্যোগ শুরুর আগেই নেওয়া হবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি থাকতে হবে। একই সঙ্গে করপোরেশনের স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতা, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহকারী শাখার কর্মীদের ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন জানান, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়রের নির্দেশে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) থেকেই নগরে দুর্যোগ মোকাবিলায় সতর্ক ও সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা এরইমধ্যে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইন সরবরাহ করছি। এছাড়াও বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেনারেটর, মোমবাতি ও মশা রোধে কয়েলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি, একটি কন্ট্রোল রুম ও পাঁচটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া বাদ আসর নগরের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৫০৫ ঘন্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এমএস/কেএসডি