এরই মধ্যে বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপদ আশ্রয়ে জন্য সাইক্লোন শেল্টার সেন্টারসহ নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যেতে শুরু করেছে মানুষজন। তবে, এখনো অনেকেরই নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে অনীহা রয়েছে।
বরিশাল জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে পাওয়া তথ্যমতে, শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত জেলার ২৩২টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫০ হাজার লোক নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) বরিশালের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ বাংলানিউজকে জানান, দুপুর ২টা পর্যন্ত তার আওতাধীন বরিশাল সদর, পটুয়াখালীর দশমিনা, গলাচিপা, রাঙ্গাবালী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও বাগেরহাটের শরণখোলায় নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে ৩২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বাকিদেরও আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বাংলনিউজকে বলেন, অনাগ্রহ থাকলেও জীবন ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে। তাদের সম্পদের নিরাপত্তা যতটা সম্ভব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেওয়ার চেষ্টা করবে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৩টা পর্যন্ত বরিশালে ৫৫ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ তেমন একটা বাড়েনি, তবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের থেকে কিছুটা বেড়েছে। তবে, এখনো কোনো নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এমএস/একে