শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার আদমজীনগর কদমতলী কলেজ গেট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। ঝন্টু মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার গোবরদি গ্রামের মৃত দবির মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, ঝন্টু বিভিন্ন সময় নিজেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভুয়া পরিচয়পত্র দেখিয়ে অর্থ আদায় করতেন। সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকার মিষ্টির দোকানের মালিক মো. খাইরুল ইসলামের শ্বশুরের মিষ্টির দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে এ কথা বলে টাকা দাবি করেন ঝন্টু। পরে খবর পেয়ে ঝন্টুকে আটক করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঝন্টু নিজেকে ভুয়া ম্যজিস্ট্রেট পরিচয় দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
মিষ্টির দোকানের মালিক খাইরুল বলেন, গত ২ নভেম্বর (শনিবার) সকালে ঝন্টু তার দোকানে এসে সিদ্ধিরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। একটু পরে আপনার এখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত আসবে। তারা যাতে এখানে না আসেন সেজন্য ১০ হাজার টাকা দাবি করে ঝন্টু। পরে খাইরুল ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা ও মামলা থেকে বাঁচতে ঝন্টুকে ১০ হাজার টাকা দেন। টাকা নিয়ে ঝন্টু চলে যান। সাতদিন পর শনিবার (৯ নভেম্বর) খাইরুলের মিষ্টির দোকানের পাশে তার শ্বশুরের মিষ্টির দোকানে এসে উপস্থিত হন। এদিনও ঝন্টু ভ্রাম্যমাণ আদালতের কথা বলে খাইরুলের শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা দাবি করেন। খাইরুলের শ্বশুর বিষয়টি তাকে জানালে তিনি ওই দোকানে ছুটে যান। এ সময় ঝন্টু তড়িঘড়ি করে চলে যাবার সময় খায়রুল তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝন্টুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক বাংলানিউজকে জানান, ম্যাজিস্ট্রেট সেজে অর্থ আদায়ের অভিযোগে আমরা ঝন্টুকে আটক করেছি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
আরআইএস/