শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ৮ নম্বর সোনাপুর ইউনিয়নের ধন্যপুর গ্রামের মাওলানা মোহাম্মদ উল্যা বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে নোয়াখালীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইলিশায় রিসিলের নেতৃত্বে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক মো. আব্দুল আলিমসহ পুলিশের ৪ সদস্য।
মরদেহ উত্তোলনের সার্বিক বিষয় তদারকি করেন সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টিনা পাল ও সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সামাদ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মরদেহ উত্তোলনের পরে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এর আগে, বুধবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মো. আমিনুল হক এ আদেশ দেন।
গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আবরারের মৃত্যুতে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে দৈনিকটির সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ওই স্কুলছাত্রের বাবা মো. মুজিবুর রহমান।
পরে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আবরারের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে তার বাবার নালিশি মামলাটিও তদন্ত করতে বলেছেন আদালত।
আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে মোহাম্মদপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর হাকিম।
কলেজের দিবা শাখার ছাত্র আবরারের বাড়ি নোয়াখালী। সে সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ধন্যপুর গ্রামের অধিবাসী সৌদি প্রবাসী মুজিবুর রহমানের ছেলে। ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে থাকত সে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
আরএ