দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে সেনাবাহিনীও উপকূলীয় এলাকায় কাজ করবে।
এদিকে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা উপকূলের এক লাখ দুই হাজার মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরার স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বদিউজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এমএম মাহমুদুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাইদ জেলার সাতটি উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শনসহ সাইক্লোন শেল্টারে গিয়ে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন ও সাধারণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার বিষয়টি সরেজমিনে তদারকি করছেন।
এদিকে, জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল সার্বিক পরিস্থিতি তদারকির মাধ্যমে দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা ও পদ্মপুকুরের মানুষকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার জন্য চারটি বাস ও অন্যান্য যানবাহন নিয়োজিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, দুর্যোগে সাতক্ষীরার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমানো ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ডিডিএলজিসহ চারজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে সাধারণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত এক লাখ দুই হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে।
এছাড়া সন্ধ্যার পরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সম্ভাব্য আঘাত মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর ১০০ সদস্যের একটি টিম উপকূলীয় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
আরএ