শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকেই সদরঘাটের চিত্র অন্য দিনের তুলনায় ভিন্ন দেখা যাচ্ছে। সাধারণত, সদরঘাট ভোর থেকে রাত অবধি যাত্রীদের পদভার এবং নৌযানগুলোর হর্নে সরগরম থাকলেও এদিন একেবারে নিষ্প্রাণ দেখা যাচ্ছে।
নদীবন্দরের কর্মকর্তারা বলছেন, সংকেত মেনে ঢাকা নদীবন্দর থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত শনিবার কোনো ধরনের নৌযান ঢাকা থেকে ছাড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
তারা বলছেন, এখন আমরা আসলে অপেক্ষায় আছি কখন ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাত হানবে। কারণ আঘাত হানার আগে অপেক্ষা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। আমরা সবদিকে নজর রাখছি। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও নিরাপদে থেকে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। আমাদের দিক থেকে প্রতিটি আবহাওয়া বুলেটিন পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং সেই মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র কারণে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) থেকেই ঢাকা থেকে দূরবর্তী গন্তব্যে নৌযান চলাচলে কড়াকড়ি দেখা যাচ্ছে। সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত বেশ কিছু লঞ্চ নিকটবর্তী গন্তব্যে ছেড়ে গেলেও সন্ধ্যার ৬টার আবহাওয়া বুলেটিন জারির পর রাত পৌনে ৮টার দিকে সব ধরনের নৌযান ঢাকা থেকে অন্যত্র যাত্রা বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ। তবে বরিশাল থেকে এমভি পারাবত-১২, সুন্দরবন-১০, সুরভী-৯ ও এম ভি মানামী লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এবং সকাল নাগাদ এসব যান নির্বিঘ্নে পৌঁছে।
এ বিষয়ে ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক (ট্রাফিক) আলমগীর কবির বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল ঢাকায় ছিল ৩ নম্বর আর বরিশাল নদীবন্দরে ছিল ৪ নম্বর সংকেত। আজ ঢাকায়ই ৪ নম্বর সংকেত জারি হয়েছে। অন্যদিকে সমুদ্রবন্দরে মহাবিপদ সংকেত জারি হওয়ায় এখন আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় নিজেদের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রেখেছি। ঢাকা বা আশেপাশের লঞ্চঘাটসমূহের জন্য ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেতই সর্বোচ্চ বলে আমরা ধরে নেই। সেখানে ৪ নম্বর সংকেত অবশ্যই আরও বেশি ভয়াবহতা নির্দেশ করে। সেসব দিক বিবেচনায় আমরা কাজ করছি। সদরঘাটে সব লঞ্চ তাদের নির্ধারিত স্থানে পল্টুনে বাধা রয়েছে। এসব লঞ্চের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। ‘বুলবুল’ বাংলাদেশ অতিক্রম করার পরেই আমাদের পরবর্তী কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
কেডি/এইচএ/