তিনি বলেছেন, মধুপুরের এ বন এখন প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ বনকে রক্ষা করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে।
আবারও নেওয়া প্রকল্পে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ডিজাইন বদল হয়ে গেছে অভিযোগ করে মন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা দেশে দেশে ভ্রমণ করলেও মধুপুর বনে এসে একে রক্ষায় প্রয়োজনীয় বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ তাদের হয় না।
মন্ত্রী আরও বলেন, সংস্কৃতি সমৃদ্ধ মধুপুরের আদিবাসীরা বনে বিচরণ করে। বনেই তাদের বসবাস। এ বনকে তারা অন্তর দিয়ে ভালোবাসে। তাদের রক্ষা করা গেলে বন রক্ষা পাবে।
তিনি আরও বলেন- বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পৃথক সংস্কৃতিগুলোর চর্চা ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে হারানোর সুযোগ থাকবে না। বরং দেশের সংস্কৃতি আরও সমৃদ্ধ হবে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুরে জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ‘নৃ-তাত্ত্বিক জনউৎসব’২০১৯ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু এমপি।
এসময় বক্তব্য রাখেন- জামালপুর সদরের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মোজাফফর হোসেন এমপি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুস সামাদ, সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব রাশেদুল হাসান শেলী, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফিউদ্দিন মনি, মেয়র মাসুদ পারভেজ, আদিবাসী নেতা অজয় এ মৃ, ইউজিন নকরেক, নারী ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
আরএ